ব্যাকারাটে জিততে চাইলে নানারকম কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে যা মূলত বাজির ধরন এবং ব্যয় অপ্টিমাইজ করার পরামর্শ দেয়। এই কৌশলগুলি মূলত ব্যাংকার অথবা প্লেয়ারের উপর বাজি ধরার কথা বলে।
ফিবোনাচ্চি পদ্ধতি
এই পদ্ধতিটি ফিবোনাচ্চি ধারার মাধ্যমে বাজি নির্ধারণ করে, যেখানে প্রতিটি সংখ্যা তার আগের দুটি সংখ্যার যোগফল। এই পদ্ধতিতে, যদি আপনি একটি বাজি হেরে যান, তবে আপনাকে ফিবোনাচ্চি ধারার পরবর্তী সংখ্যা অনুযায়ী বাজি ধরতে হবে। জিতলে, ধারার দুই ধাপ পিছিয়ে নতুন বাজি ধরতে হবে।
মার্টিংগেল ও রিভার্স মার্টিংগেল পদ্ধতি
মার্টিংগেল পদ্ধতিতে প্রতিবার বাজি হারানোর পর বাজির পরিমাণ দ্বিগুণ করতে হয়। এতে করে, যখন জিতবেন, সব হারানো অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। রিভার্স মার্টিংগেলে, প্রতিবার জিতলে বাজির পরিমাণ দ্বিগুণ করতে হবে, যা বড় জয়ের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে।

ডি’আলেমবার্ট ও কনট্রা ডি’আলেমবার্ট
ডি’আলেমবার্ট পদ্ধতিটি মার্টিংগেলের মতো কিন্তু কম ঝুঁকিপূর্ণ। এটি একটি বেস বাজির সীমা নির্ধারণ করে, যা প্রতি হারে এক ইউনিট বাড়ায় এবং প্রতি জয়ে এক ইউনিট কমায়। কনট্রা ডি’আলেমবার্ট পদ্ধতিতে, প্রতি জয়ের পর বাজির পরিমাণ বাড়ানো হয় এবং হারানোর পর কমানো হয়।
প্যারোলি সিস্টেম
প্যারোলি পদ্ধতি প্রতি জয়ের পর বাজির পরিমাণ দ্বিগুণ করতে বলে, তবে তিনবার জিতলে আবার মূল বাজির পরিমাণে ফিরে যেতে হয়।
ল্যাবুশের পদ্ধতি
এই পদ্ধতিতে একটি সংখ্যার ধারা নির্ধারণ করে প্রথম ও শেষ সংখ্যার যোগফল অনুযায়ী বাজি ধরতে হয়। জিতলে প্রথম ও শেষ সংখ্যা মুছে ফেলা হয়, এবং হারলে বাজির পরিমাণ ধারায় যোগ করা হয়।
উপসংহার
এই কৌশলগুলি বাজির পরিমাণ নির্ধারণে সাহায্য করে এবং ব্যাকারাট খেলায় আরও বেশি সফল হওয়ার সুযোগ বাড়ায়। যথাযথ কৌশল অবলম্বন করে আপনি ব্যাকারাটে আরও বেশি জয়লাভ করতে পারবেন।